নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালমুঘাটস্থ পুর্ব ডুমখালী এলাকা থেকে থানা পুলিশ জিন্মিদশা থেকে দুই যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন টেকনাফের হ্নীলা ৬নং ওয়ার্ড ঘোনাপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর (২১) ও অপরজন তার চাচাতো ভাই একই এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ রিদুয়ান (১৯)। রবিবার বিকেল ৫টায় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী এলাকায় পুলিশ এ অভিযান চালায়।
থানা পুলিশ জানায়, ডুলাহাজারা ইউনিয়নে বেড়াতে এসে দুই সন্তানকে আটকে রাখা হয়েছে অভিভাবকদের দেয়া এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার এসআই মনজুরুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালায়। রোববার বিকেলে ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী নামক এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
তবে উদ্ধারকৃত যুবক ও স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে তারা বেড়াতে আসেনি, ইয়াবা ব্যবসার লেনদেনের কারণে তাদেরকে আটক রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার বিস্তারিত উদঘাটন করতে তদন্ত চালাচ্ছে।
অপরদিকে উদ্ধার হওয়া জাহাঙ্গীর ও রিদুয়ান স্থানীয় জনগনের কাছে স্বীকারোক্তিতে জানায়, তারা দুইজন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী এলাকায় ইয়াবার লেনদেনের জন্য এসেছে। ওই এলাকার রুবেল নামের অপর যুবককে এক হাজার ইয়াবা বড়ি দেয়ার কথায় অগ্রিম ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। পরে তারা দু’জন ডুলাহাজারায় এসে বাদবাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ইলিয়াস নামের এক চাচাকে বিকাশে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু মাদক কারবারি সেই চাচা টাকা নিয়ে ইয়াবা না পাঠিয়ে তাদের সাথে বেঈমানী করেছে। তাই ইয়াবা অথবা টাকার জন্য স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ী রুবেল তাদের আটকে রেখেছে।
পুলিশের উদ্ধার অভিযানে সাথে ছিলেন ডুলাহাজারা ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ রফিক, কাটাখালী এলাকার আওয়ামী নেতা বাদশা মিয়া ও মালুমঘাট বাজারের পান ব্যবসায়ী জহির সওদাগর। এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, বেড়াতে এসে দুই সন্তানকে আটকে রাখা হয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিভাবকদের একটি অভিযোগ পাই। পরে অভিযান চালিয়ে ডুলাহাজারা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বিষয়টি ইয়াবা সংক্রান্ত বলেও জানতে পারি। তবে এনিয়ে তদন্ত চালছে বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: